মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

গণতন্ত্র মানে অন্যের মতকে সম্মান দেওয়া : আমীর খসরু

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

গণতন্ত্র মানে অন্যের মতকে সম্মান দেওয়া : আমীর খসরু

ছবি- সংগৃহীত

গণতন্ত্র মানে অন্যের মতকে সম্মান দেওয়া উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকলে আপনা–আপনিই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। স্বৈরাচারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে, যা বুঝতে না পারলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি টিকতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রবিবার (১০ আগস্ট, ২০২৫) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, "বক্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে অন্যজনের কথা শুনে সহ্য করা, তার মতকে সম্মান দেওয়া।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, "রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে সংস্কার অসম্ভব।" তার মতে, বিপ্লবোত্তর যে দেশ দ্রুত নির্বাচন করেছে, তারা ভালো করেছে; যারা দীর্ঘ সময় নিয়েছে, সেখানে অন্তঃকোন্দল বেড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে। এটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার প্রাথমিক দায়িত্ব হলো যেখান থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, সেখান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। আমীর খসরু মনে করেন, ঐকমত্যের প্রচেষ্টা একটি ভালো উদ্যোগ হলেও, "আলাদা দর্শন থাকবে, কিন্তু সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে—এটা বাকশালের আদর্শ। চাপিয়ে দেওয়া কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না।"

অর্থনৈতিক উন্নতি করাকে সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের সময় বিনিয়োগ আসেনি এবং এতে তাদের দোষ নেই। "বিনিয়োগে বাংলাদেশ অনেক নিচে। সিরিয়াস ডিরেগুলেশন ও সিরিয়াল লিবারেলিজম ছাড়া দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যাবে না।"

তিনি আরও বলেন, "সরকারের অনেক দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে। ট্রেড বডিগুলোর হাতে অনেক কার্যক্রম তুলে দিয়ে সরকারকে নির্ভার হতে হবে। ফিজিক্যাল কন্ট্রাক্ট না কমালে দুর্নীতি কমানো যাবে না। দেশে যত নিয়ন্ত্রণ (রেগুলেশন) থাকবে, তত দুর্নীতি বাড়বে। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিক করতে হবে, সবার অংশগ্রহণ লাগবে।" এছাড়া, তিনি ফ্যাসিবাদের বাজেট চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না মন্তব্য করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া উচিত ছিল।