আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম
বাংলাদেশে যদি কোনো নির্বাচন হয়, তাহলে তার আগে গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। এই দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিদ্যমান সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তারা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য জনগণকে সংগঠিত করে মাঠে নামছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলের নেতারা এই দাবি তুলে ধরেন। ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ছাড়াও সদস্য সচিব আখতার হোসেন বক্তব্য দেন।
গত ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। এরপর নির্বাচন কমিশনকে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য চিঠিও দেওয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটে এনসিপি এই নতুন দাবি তুলেছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছিল, যারা আহত হয়েছিল, তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমাদের একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন।” তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাচন ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ওনার চোখে পড়ে না, ওনার লন্ডন যেতে হয়। লন্ডনে গিয়ে সিজদা দিয়ে ওহির মাধ্যমে আদেশ পেয়েছেন। সেটা একটা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। কোন নির্বাচন? এ সংবিধানের অধীনে?”
তিনি আরও বলেন, “আপনার সিজদাটা ঠিক হয় নাই। আপনার সিজদা দিতে হবে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। কারণ, জনগণ আপনাকে বসিয়েছেন, সে সিজদার মাধ্যমে আপনি সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন।”
তিনি এর আগে গত ১২ আগস্ট ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেছিলেন, যদি সংস্কার কাজ শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে শহীদ ভাইদের জীবনের এবং আহতদের শারীরিক ক্ষতির দায় এই সরকারকে নিতে হবে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে নতুন সংবিধান লেখার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদি দিয়ে দিতে না পারেন, তাহলে আপনারও বৈধতা থাকবে না।” তিনি জুলাই সনদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান এবং বলেন যে, ইউনূস সরকার জনগণকে নিয়ে জুলাই সনদ না দেওয়ার মাধ্যমে 'গাদ্দারি' ও 'বেঈমানি' করেছে।