আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১১:১১ এএম
জাকাত ও ফিতরার টাকায় কবরস্থানের উন্নয়ন করা যাবে না, এমনটাই বলছে ইসলামি শরিয়ত। এর মূল কারণ হলো জাকাতের টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে একটি মৌলিক শর্ত রয়েছে, যাকে বলা হয় ‘তামলিক’ (মালিক বানিয়ে দেওয়া)। অর্থাৎ, জাকাত কেবল সেই ব্যক্তি বা সংস্থাকে দেওয়া যাবে, যারা এর মালিক হতে পারে এবং তা থেকে সরাসরি উপকৃত হতে পারে।
কবরস্থানের মাটি সমান করা, দেওয়াল নির্মাণ করা বা অন্য কোনো উন্নয়নমূলক কাজে জাকাতের অর্থ সরাসরি খরচ করা জায়েজ নয়। কারণ এসব কাজে গরিবকে সরাসরি মালিক বানিয়ে দেওয়া হয় না। তবে, কেউ যদি নফল সদকা, ওয়াকফ বা অন্যান্য স্বেচ্ছামূলক অনুদান দিতে চান, তাহলে এসব কাজে তা ব্যবহার করা যাবে।
পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে জাকাতের আটটি খাত নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। এই খাতগুলো ছাড়া অন্য কোনো কাজে জাকাত প্রদান করা জায়েজ নয়।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, “জাকাত তো শুধু নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” (সুরা: তাওবা, আয়াত: ৬০)।
ইসলামের দৃষ্টিতে সেই ব্যক্তি জাকাত গ্রহণের যোগ্য, যার কাছে অতি সামান্য সম্পদ আছে বা কিছুই নেই, এমনকি একদিনের খোরাকিও নেই। আর যে ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, সে জাকাত গ্রহণ করতে পারবে না।