সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
ইসলামে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার মতোই। জুমার দিনকে কেন্দ্র করে আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করেছেন, যা এই দিনের মহিমাকেই প্রকাশ করে। আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি সব কাজ) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা জুমা- ০৯)।
জুমার দিনটি শুধু ইবাদতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি সৃষ্টি ও কিয়ামতের সঙ্গেও সম্পর্কিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, তার মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়। আর এই দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।” (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।
জুমার দিনের অন্যতম একটি বিশেষ আমল হলো দোয়া। নবী (সা.) বলেছেন, জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন কোনো মুসলমান যদি নামাজরত অবস্থায় কোনো কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ তা পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)। তাই এই দিনে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
এছাড়াও জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন, “তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কারণ তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।” (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৪৭)। দরুদ পাঠের সাধারণ ফজিলত হলো, যে ব্যক্তি একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন। জুমার দিনের এই বিশেষ আমলগুলো প্রতিটি মুসলিমের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে।