মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

জান্নাতে হুরদের ৩ সৌন্দর্য, যা বলা হয়েছে সুরা সাফফাতে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১২, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম

জান্নাতে হুরদের ৩ সৌন্দর্য, যা বলা হয়েছে সুরা সাফফাতে

ছবি- সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মমতে, জান্নাত মুমিনদের জন্য এক অনন্ত সুখের নিবাস। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের নেয়ামত ও পুরস্কারের কথা আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো জান্নাতিদের জন্য নির্ধারিত হুর। সুরা আস-সাফফাতে এই হুরদের সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যের একটি বিশেষ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

সুরা আস-সাফফাতের ৪৮ ও ৪৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَعِنۡدَہُمۡ قٰصِرٰتُ الطَّرۡفِ عِیۡنٌ ۙ کَاَنَّہُنَّ بَیۡضٌ مَّکۡنُوۡنٌ

যার অর্থ: “আর তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না, সতী সাধ্বী, ডাগর ডাগর সুন্দর চোখ বিশিষ্ট সুন্দরীরা (হুরগণ)। তারা যেন সযত্নে ঢেকে রাখা ডিম।”

এই আয়াতে জান্নাতি হুরদের তিনটি অনন্য সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:

১. সংযত দৃষ্টি বা আনতনয়না: এই আয়াতে হুরদের প্রথম গুণ হিসেবে ‘আনতনয়না’ বলা হয়েছে। এর অর্থ হলো, তারা তাদের স্বামীদের ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের প্রতি তাকাবে না। কোনো কোনো মুফাসসির এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, হুরদের সৌন্দর্য এতটাই বেশি হবে যে, তাদের স্বামীদের দৃষ্টি তাদের থেকে অন্য কোনো দিকে ফিরবে না।

২. ডাগর ডাগর সুন্দর চোখ: হুরদের দ্বিতীয় গুণ হলো তাদের চোখ হবে বড় বড় ও সুন্দর। মেয়েদের বড় চোখ সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। জান্নাতি হুরদের চোখ হবে এমন যা দেখে জান্নাতিরা মুগ্ধ হবেন।

৩. সুরক্ষিত ডিমের মতো স্বচ্ছ ত্বক: জান্নাতি হুরদের তৃতীয় সৌন্দর্য হলো, তাদের ত্বককে সুরক্ষিত ডিমের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আরবরা এমন ডিমকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করত, যা পাখির ডানার নিচে সুরক্ষিত থাকে এবং বাইরের ধুলো-ময়লা থেকে মুক্ত থাকে। এর ফলে ডিমটি স্বচ্ছ ও হলুদাভ সাদা থাকে, যা তাদের কাছে মহিলাদের সর্বাধিক আকর্ষণীয় রঙ হিসেবে পরিচিত ছিল। এই উপমা দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে হুরদের ত্বক হবে অত্যন্ত সুন্দর ও দাগহীন।