মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

কোরআনের ভাষায় সবচেয়ে বড় জালিম কারা: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম

কোরআনের ভাষায় সবচেয়ে বড় জালিম কারা: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ

ছবি - সংগৃহীত

কোরআনের ভাষায় সবচেয়ে বড় জালিম হলেন তারা, যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করে অথবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যা মনে করে। সুরা আনআমের ২০ ও ২১ নম্বর আয়াতে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, “যাদেরকে আমি কিতাব (ঐশীগ্রন্থ) দিয়েছি, তারা তাকে সেইরূপ চেনে, যেরূপ তাদের সন্তানদেরকে চেনে। যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে তারা বিশ্বাস করবে না।” (সুরা আনআম, আয়াত: ২০)। এই আয়াতে 'তাকে' সর্বনামটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ করে। এর অর্থ হলো, পূর্ববর্তী কিতাবধারীরা, যেমন ইহুদি ও খ্রিস্টানরা, রাসুল (সা.)-এর পরিচয় এতটাই স্পষ্টভাবে জানত, যেমন তারা নিজেদের সন্তানদের চেনে। তাদের কিতাবে রাসুল (সা.)-এর আগমন ও তাঁর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা ছিল। তা সত্ত্বেও যারা সত্যকে অস্বীকার করে, তারা নিজেদেরই ক্ষতি করে।

পরের আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আর যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যাজ্ঞান করে, তার থেকে অধিক জালেম (অত্যাচারী) আর কে? জালেমরা অবশ্যই সফলকাম হবে না।” (সুরা আনআম, আয়াত: ২১)। এই আয়াতে দুই ধরনের ব্যক্তিকে সবচেয়ে বড় জালেম বলা হয়েছে। প্রথমত, যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করে, অর্থাৎ যারা মিথ্যা নবুওয়াত দাবি করে। যুগে যুগে এমন অনেক মিথ্যা নবীর আবির্ভাব হয়েছে, যার ভবিষ্যদ্বাণী রাসুল (সা.) নিজেই করে গেছেন। তিনি বলেছেন, “ত্রিশজন মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে এবং তারা প্রত্যেকে দাবি করবে যে সে নবী।” (বুখারি, হাদিস: ৩৬০৯) এই ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবতা প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যারা আল্লাহর সত্য নিদর্শনাবলী এবং তাঁর প্রেরিত সত্য রাসুলকে মিথ্যা মনে করে। এই উভয় শ্রেণীর মানুষই সবচেয়ে বড় জালিম এবং তারা কখনোই সফলকাম হবে না। তাফসির ইবনে কাসির এবং তাফসিরে তাবারী থেকে জানা যায় যে, সত্য জানার পরও যারা ঈমান আনে না, তারা অত্যন্ত ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।