আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
ভ্রমণ বা ট্যুরিজম অনেকের কাছেই পছন্দের একটি শখ। কিন্তু ভ্রমণের আগে যতই বাজেট তৈরি করা হোক না কেন, প্রায়শই দেখা যায় শেষ মুহূর্তে সেই বাজেট ছাড়িয়ে যায় খরচ। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া এই বাড়তি চাপ ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট করে দেয়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো যা আপনাকে বাজেট-বান্ধব ভ্রমণ করতে সহায়তা করবে।
১. হোটেল বুকিংয়ে সতর্কতা: অনলাইনে আকর্ষণীয় অফার দেখে হোটেল বুকিং দেওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। অনেক সময় লুকানো চার্জ বা ট্যাক্স যুক্ত হয়ে খরচ বেড়ে যায়। তাই বুকিং দেওয়ার আগে সরাসরি হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাম নিশ্চিত করুন। এতে আপনি স্থানীয় ডিসকাউন্ট বা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।
২. যাতায়াত খরচ পরিকল্পনা: ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচ হলো যাতায়াত। তাই যাতায়াতের রুট এবং খরচ আগে থেকেই হিসেব করে রাখুন। ট্রেন, বাস বা প্লেনের টিকেট আগেভাগে কেটে রাখলে খরচ কমানো সম্ভব। রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে অযথা খরচ বাঁচানো যায়।
৩. পর্যটন স্থানে বাড়তি দাম: পর্যটন স্পটে সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। রিকশা থেকে শুরু করে খাবার, সবকিছুর জন্যই পর্যটকদের বেশি মূল্য দিতে হয়। তাই দরদাম করতে শিখুন এবং অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা এড়িয়ে চলুন।
৪. অফ-সিজনে ভ্রমণ: ঈদ, পূজা বা সরকারি ছুটির মতো উৎসবের মৌসুমে হোটেল ও যাতায়াত খরচ অনেক বেড়ে যায়। সম্ভব হলে অফ-সিজনে বা ছুটির দিনগুলো এড়িয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। এতে কম খরচে আরামে ভ্রমণ করা যাবে।
৫. পানি ও শুকনো খাবার: পর্যটন স্থানে এক বোতল পানির দাম ঢাকার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হতে পারে। তাই ভ্রমণের সময় নিজের ব্যাগে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, বিস্কুট, বাদাম, চকোলেটের মতো শুকনো খাবার রাখুন। এতে বাড়তি খরচ যেমন বাঁচবে, তেমনই সময়মতো ক্ষুধা লাগলে তা মেটানো যাবে।
৬. আগে থেকে পরিকল্পনা: শেষ মুহূর্তে টিকেট কেনা বা হোটেল বুকিং করলে খরচ বেশি হয়। কমপক্ষে এক মাস আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে অগ্রিম বুকিং-এর ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
৭. ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা: কিছু ব্যাংক বা মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করলে হোটেল বুকিং বা টিকেট কেনায় ক্যাশব্যাক অফার পাওয়া যায়। এসব অফার কাজে লাগিয়ে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব।
এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার ট্যুরিজম হবে আরও সাশ্রয়ী এবং আনন্দদায়ক।