জুলাই ৩০, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর। ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই হাওর। বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পর্যটকরা ছুটে যান সেখানে। হাওরের নীল জলরাশি, নীল আকাশ আর মেঘালয় পাহাড়ের সবুজ আভা পর্যটকদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দেয়। রাতে জ্যোৎস্নার আলো আর হিমেল হাওয়া যেন এক স্বর্গসুখের অনুভূতি এনে দেয়। এমন মনোরম দৃশ্য দেখে পর্যটকদের মন চায় হাওরের বুকে হারিয়ে যেতে।
প্রায় ১২৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই জলাভূমি স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল’ নামেও পরিচিত। এর পাশাপাশি রয়েছে নীলাদ্রি লেক, বারেকের টিলা, শিমুল বাগানসহ আরও নানা পর্যটন স্পট।
টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশগত গুরুত্ব ও ব্যবস্থাপনা
১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখনই অবসান হয় দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে এ হাওরকে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে আইসিইউএন। হাওর এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে ২০০১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর থেকে হাওরের নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) এবং আইসিইউএন ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে 'টাঙ্গুয়ার হাওর সমাজভিত্তিক টেকসই ব্যবস্থাপনা' প্রকল্প পরিচালনা করে। এই হাওরই এখন পর্যটকদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সেরা সময় ও প্রস্তুতি
শাপলা দেখতে চাইলে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এই সময়টায় প্রতিদিন ভোরবেলা শাপলা ফুটে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলগুলো বুজে যায় অথবা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তা তুলে নিয়ে বাজারে নিয়ে যান। তাই শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে খুব সকালে বিলে পৌঁছানোই সবচেয়ে ভালো। অনেক পর্যটক রাতে গ্রামে থেকে ভোরে শাপলা বিলে চলে যান।
বর্তমানে হাওর ভ্রমণের জন্য রয়েছে বেশ কিছু আধুনিক হাউস বোট। আগে থেকেই এসব হাউস বোট বুকিং করতে হয়। হাউস বোটে ভ্রমণ করতে চাইলে আপনার কাজ হবে শুধু সুনামগঞ্জ বা তাহিরপুর পৌঁছানো। এরপর ভ্রমণের সব দায়িত্ব হাউস বোটের। হাউস বোট সুনামগঞ্জ শহরের সাহেব বাড়ি ঘাট থেকে ছাড়বে নাকি তাহিরপুর থেকে ছাড়বে, তা আগে থেকেই জেনে নিতে হবে। সাহেব বাড়ি ঘাট থেকেই হাউসবোট ছাড়লে তখন কষ্ট করে তাহিরপুর যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
কিভাবে যাবেন?
টাঙ্গুয়া যেতে প্রথমে যেতে হবে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে। ঢাকা থেকে সড়ক পথে সুনামগঞ্জ যাওয়া যায়। ফকিরাপুল, সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী পরিবহণ, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এনা পরিবহণ, মামুন পরিবহণের বাসগুলো সুনামগঞ্জ যায়। বাসে সুনামগঞ্জ পৌঁছাতে ৬ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।
সুনামগঞ্জ নেমে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত বড় ব্রিজের কাছে লেগুনা/সিএনজি/বাইকে করে তাহিরপুরে যাওয়া যায়। সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। তাহিরপুরে নৌকা ঘাট থেকে আকার ও সামর্থ্য অনুযায়ী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করতে হবে।
নৌকার ভাড়া কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন নৌকার আকার, ধারণক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, মৌসুম ইত্যাদি। এ ছাড়া ছুটির দিনে ভাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকে।
-
এক রাত থাকার জন্য:
-
ছোট নৌকা: ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা
-
মাঝারি আকারের নৌকা: ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা
-
বড় নৌকা: ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা
-
বর্তমানে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে আসার জন্য প্রায় অর্ধশতাধিক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হাউস বোট রয়েছে। এই হাউস বোটগুলোতে খাওয়া-দাওয়া, রাতে থাকাসহ ২ দিন ১ রাত ভ্রমণের সমস্ত ব্যবস্থা থাকে। খরচ হবে জনপ্রতি ৬-৮ হাজার টাকা। তবে দল যদি অনেক বড় হয়, যেমন ১৬-২০ জনের মতো হলে তখন জনপ্রতি ভাড়া অনেকটাই কমে আসবে। তখন জনপ্রতি ৪ হাজার-৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।
এ ছাড়া:
-
৪ জনের কেবিন ভাড়া ২০ হাজার টাকা
-
৩ জনের কেবিন ভাড়া ১৮ হাজার টাকা
-
২ জনের কেবিন ১৩ হাজার টাকা
-
লবির ভাড়া জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা
এই ভাড়ার মধ্যে সকালের নাস্তা (ডিম খিচুড়ি), দুপুরে (মাছ, মুরগি ও ভাত), রাতে (ভালো মাছ ও মাছের ভর্তা এবং ডাল-সবজি) রয়েছে।
কিছু চ্যালেঞ্জ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী
তবে এসব এলাকায় হিজড়ার উৎপাত বেশি। পর্যাপ্ত শৌচাগার ও ড্রেস চেঞ্জ নিয়ে সমস্যা হয়। এ ছাড়া পর্যটন স্পটগুলোতে মোটরসাইকেল, অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করা নেই। ফলে এক এক সময় এক এক ভাড়া চান চালকরা। এক স্পট থেকে অন্য স্পটে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ।
নৌকা ভাড়া করার সময় লাইফ জ্যাকেট, টয়লেটের ব্যবস্থা, রান্নার চুলা, লাইট-ফ্যান, বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য শামিয়ানা ইত্যাদি ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। তাহিরপুর বাজারে আইপিএস ও লাইফ জ্যাকেট ভাড়া পাওয়া যায়। নৌকায় যদি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও লাইফ জ্যাকেট না থাকে, তবে সেগুলো ভাড়া করে নিতে হবে।
খাবারের ব্যবস্থা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও টেকেরঘাটে বেশকিছু খাবার হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে হাওরের প্রায় ২০-৩০ প্রজাতির মাছ, শুঁটকি আর হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। এসব খাবারে সকাল কিংবা দুপুরের খাবার সারতে পারবেন। আর টেকেরঘাটে যদি রাত্রিযাপন করেন, তবে রাতের খাবারও এখানেই সেরে নেওয়া সম্ভব।
আর যদি নৌকাতেই রাত্রিযাপন করা হয় তবে রান্নার ব্যবস্থা নৌকাতেই করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নৌকায় উঠার আগেই তাহিরপুর বাজার থেকে প্রয়োজনীয় বাজার করে নিতে হবে। তবে তাজা মাছ কেনার জন্য হাওরের মাঝের ছোট ছোট দোকানগুলো আদর্শ জায়গা। মাঝিকে বললে এই দোকানগুলো চিনিয়ে দেবে।
নৌকায় নিজেরাই রান্না করা যায়, আবার রান্নার জন্য তাহিরপুরে বাবুর্চিও ভাড়া পাওয়া যায়। অনেক নৌকার মাঝিরাই রান্না করে দিতে আগ্রহী হন। এসব বিষয়ে তাই নৌকায় উঠার আগে মাঝির সঙ্গে আলাপ করে নেওয়া উচিত। আর যদি হাউস বোটে থাকা হয় সে ক্ষেত্রে খাবার নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে না। খাবারের সব ব্যবস্থা হাউস বোটের স্টাফরাই করে থাকেন। খাবারের মেনুও সাধারণত আগে থেকেই জানানো হয়। মেনুতে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে আগে থেকেই কথা বলে নিতে হয়।
দর্শনীয় স্থান
হাওর ভ্রমণকালে পানিতে না নামলে ভ্রমণ অনেকটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ওয়াচটাওয়ার এলাকায় এসে পানিতে নেমে আশপাশের জলাবনে ঘুরে বেড়ানো যায়। ওয়াচটাওয়ারের ওপরতলায় উঠে হাওর অঞ্চলের সৌন্দর্য বেশ ভালোভাবে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর নৌকায় করে টেকেরঘাট এলাকায় চলে যেতে হবে। এখানে দেখতে পারবেন অপার্থিব সৌন্দর্যের নীলাদ্রি লেক। একদিকে টিলা-পাহাড়ের সমারোহ আর অন্যদিকে স্বচ্ছ নীল জলের হ্রদ। সব মিলিয়ে এটি যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের আধার।
নীলাদ্রি লেক থেকে সিএনজিতে করে চলে যেতে পারেন লাকমাছড়া। ভারত সীমান্তঘেঁষা এই এলাকায় দেখা যাবে মেঘে আচ্ছাদিত সবুজ সব পাহাড় আর পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির ঝর্ণাধারা।
এ ছাড়া পরদিন বারিক টিলা ও যাদুকাটা নদী দেখতে যেতে পারেন। পাশাপাশি ঘুরে আসতে পারেন শিমুল বাগানে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ পর্যটক আসেন। শুক্র ও শনিবার ৫০০ থেকে ৭০০ পর্যটক আসেন শিমুল বাগানে। সিজনে অর্থাৎ যখন শিমুল ফুল ফোটে (১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) তখন আরও বেশি পর্যটক শিমুল বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। তবে যেখানেই যেতে চান না কেন নৌকার মাঝিকে ভ্রমণের শুরুতেই সবকিছু জানিয়ে রাখতে হবে।
নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে প্রশাসনের মন্তব্য
তাহিরপুর উপজেলা নৌ পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতির সভাপতি মো. রব্বানী জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবি ও টাঙ্গুয়ার হাওরের নিয়োজিত আনসার বাহিনী রয়েছে। এ ছাড়া রাতে হাউস বোটে পর্যটকরা ঘুমিয়ে পড়লে বোটগুলোর স্টাফরা প্রহরীর কাজ করেন।
জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, শিমুল বাগান, বারেকেরটিলা, নিলাদ্রী লেক, টেকেরঘাট সড়কে কাজ ৩০ ভাগ হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এ সড়কটির কাজ শেষ হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, জেলায় পর্যটনের বিকাশে জেলা প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০টি হাউজবোট নিবন্ধন করেছে। অন্যান্য হাউস বোটগুলোকেও নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া টেকেরঘাট এলাকায় পর্যটকদের জন্য আধুনিক ওয়াশব্লক নির্মাণ করার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
টাঙ্গুয়ার হাওরকে ঘিরে হাউস বোটভিত্তিক পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠায় সকল হাউস বোটকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। সকল হাউস বোটে প্রশিক্ষিত গাইড দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য টেকেরঘাটে নির্মাণ করা হবে বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন। এ ছাড়া পর্যটন এলাকায় চলাচলরত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও স্পিডবোট চালককে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ওয়াচ টাওয়ার কাম টাঙ্গুয়ার হাওর ম্যানেজমেন্ট অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বারেকের টিলায় মুনভিউ পয়েন্ট নির্মাণ করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাওরপাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চালু করা হবে ভাসমান বাজার।
এদিকে হাওরে আগত পর্যটক ও পর্যটকবাহী নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৭ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিবুর রহমান জানান, হাওরের পরিবেশ সংরক্ষণ, নৌ দুর্ঘটনা রোধ, জনদুর্ভোগ কমানো এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মধ্যনগর থানা পুলিশের ১৭ দফা নির্দেশনা:
১. নৌযানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। ২. নৌযান চলাচলের সময় ও পানিতে নামার আগে সকল যাত্রী ও নৌচালককে বাধ্যতামূলকভাবে লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। ৩. বিরূপ আবহাওয়ায় হাওরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। ৪. যাত্রার কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে নির্ধারিত ফরমে মধ্যনগর থানার ডিউটি অফিসারকে (মোবাইল: ০১৩২০-১২১০৫৫) অবহিত করতে হবে। ৫. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ৬. প্রতিটি নৌযান ও ঘাটে ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন রাখতে হবে। ৭. নির্ধারিত স্থান ছাড়া কোথাও আবর্জনা ফেলা যাবে না। ৮. স্থলভাগের নিকটবর্তী অবস্থানে উচ্চ শব্দে মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার নিষিদ্ধ। ৯. নৌযানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ১০. ব্যক্তিগত মালামাল ও অর্থের নিরাপত্তা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। নোঙরস্থলে অপরিচিত ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ১১. প্রতিটি নৌযানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকতে হবে। ১২. গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ লিক রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। ১৩. বিআইডব্লিউটিএ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নৌযান ব্যবহার করতে হবে। ১৪. ব্যবহৃত জেনারেটরের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। ১৫. নৌযানে অতিরিক্ত একটি ইঞ্জিন রাখতে হবে। ১৬. আবহাওয়ার খবর জানার জন্য রেডিও রাখতে হবে। ১৭. শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে।
সূত্র : বাসস ও ভ্রমণবিচিত্রা
আপনার মতামত লিখুন: