আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন একটি অবস্থানে রয়েছে, যেখানে প্রতি বছরই কমবেশি বন্যা দেখা দেয়। সাধারণত বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢল এবং অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এবার আসন্ন বন্যা নিয়ে আশঙ্কাজনক পূর্বাভাস দিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক। তার মতে, এবার দেশে একটি বড় ধরনের এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে একটি বড় ধরনের বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এক পোস্টে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার পোস্টে লিখেছেন, “আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে একটি বড় মানের বন্যার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিগত ৫ বছরের মধ্যে এবার বাংলাদেশ হয়তো সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শিকার হতে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, ২০২০ সালের পর দেশব্যাপী প্রকৃতপক্ষে বড় কোনো বন্যা হয়নি। ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে এবং ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে যে বন্যা হয়েছিল, তা ছিল মূলত পাহাড়ি ঢল বা ফ্ল্যাশ-ফ্লাড।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্ষাকালের স্বাভাবিক বন্যা বলতে বোঝানো হয় ভারতের গঙ্গা নদী অববাহিকা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর মধ্যে প্রবেশ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলো প্লাবিত হওয়া। একইভাবে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়া।
গবেষকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এই বন্যায় পদ্মা, যমুনা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী প্রায় ২০ থেকে ৩০টি জেলা প্লাবিত হতে পারে। সম্ভাব্য এই বন্যাটি ১৫ আগস্টের পর থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তার এই পূর্বাভাস যেন ভুল প্রমাণিত হয় এবং দেশের মানুষ যেন কোনো বড় ধরনের বন্যার সম্মুখীন না হয়।
পলাশ তার পোস্টের শেষে তার এই পূর্বাভাসের সপক্ষে ‘আবহাওয়া ডট কম’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণাধর্মী পোস্টের কথাও উল্লেখ করেছেন।
দিনাজপুর টিভির সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
-20250806074544.jpg)
