আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১০:০৭ এএম
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করায় হযরত আলী নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার মাকাজ মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্তু নালিতাবাড়ীর নন্নী বাজারে এই ধরনের একটি আয়োজন নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হযরত আলী নামে একজন ফল ব্যবসায়ী, যিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসাবে পরিচিত, তিনি জুমার নামাজের পর মসজিদে একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নেয়।
স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের সময় হযরত আলী মসজিদের খতিবের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য মিলাদ ও দোয়া করার জন্য মুসুল্লিদের দাওয়াত দেন। এ সময় অনেক মুসুল্লি এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উত্তেজনা এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয় এবং হযরত আলীকে মারধর করে মসজিদের ভেতরেই আটকে রাখা হয়। পরে তাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
হযরত আলী বলেন, "আমি শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। আজ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবস, তাই দোয়ার আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু এটা যে এত বড় আকার ধারণ করবে, তা আমি বুঝতে পারিনি। এজন্য আমি ক্ষমা চাই।"
স্থানীয়দের অভিযোগ, হযরত আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন। তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে নন্নী কৃষি ব্যাংকের সামনের সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়রা আগে থেকেই তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। তাদের মতে, এটি দোয়ার আয়োজনের চেয়ে বরং প্রভাব বিস্তারের একটি চেষ্টা ছিল।