আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রমের ফলে দেশের চালের বাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বাজার সংকট এড়াতে সরকার চাল আমদানির অনুমতিও দিয়েছে বলে তিনি জানান।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় তালিকাভুক্ত ডিলারদের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সপ্তাহে পাঁচ দিন ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে এই কর্মসূচির পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
তিনি জানান, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ দেশের খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত। চলতি মৌসুমে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ধান ও চাল ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজারে কোনো ধরনের সংকট এড়াতে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং কিছু আমদানিকারক ইতোমধ্যেই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেছেন।
তবে কোনো লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে খাদ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে উৎপাদিত চাল মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে যথেষ্ট। তবে গরু, মহিষ, ছাগল ও হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবেও চালের ব্যবহার বাড়ছে। এ কারণে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাল আমদানির খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা যেন বঞ্চিত না হন, সেজন্য কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্য দামে ধান এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দিনাজপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে খাদ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাছনাত হুমায়ুন কবির এবং রংপুর বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল ইসলাম।
সভায় রংপুর বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাটি পরিচালনা করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম।