আগস্ট ৩০, ২০২৫, ০১:১১ পিএম
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে প্রায়শই অস্থিরতা দেখা যায়। বর্তমানে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। স্থানীয় বাজারগুলোতে এই তিনটি পণ্যের দামে যে অস্থিরতা চলছে, তা দেশের সারাদেশে ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
লালমনিরহাটের কাঁচাবাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামে অস্থিরতা চলছে। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ তিনটি পণ্যের দাম ক্রমেই বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার সকালে শিয়ালখোওয়া কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। দেশি রসুন কিছুটা কম দামে (৯০-১২০ টাকা) পাওয়া গেলেও বিদেশি রসুনের দাম দ্বিগুণের কাছাকাছি (১৪০-১৬০ টাকা) দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকায়। তবে, দেশি আলুর দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে এবং এটি ২০-২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি তাদের হাতে নেই। পেঁয়াজ বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, “দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন যথেষ্ট থাকলেও কৃষকরা বেশি দামে ছাড়ছেন। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি নিয়মিত না হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।”
রসুন ও আদার ব্যবসায়ী কালাম মিয়া জানান, “রসুন ও আদা মূলত আমদানিনির্ভর। আমদানি ব্যাহত হলেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। আমরা নিজেরা দাম বাড়াই না, পাইকারি বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়।”
অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন বাজারে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই। গৃহিণী শাহনাজ পারভীন অভিযোগ করে বলেন, “রান্নায় পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া উপায় নেই। বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মাস শেষে খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।” আরেক ক্রেতা মমিনুল হক বলেন, “এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজার অস্থির। সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।”