রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

মহেশপুর সীমান্তে ৬ কোটি টাকার ৩১টি সোনারবার উদ্ধার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

মহেশপুর সীমান্তে ৬ কোটি টাকার ৩১টি সোনারবার উদ্ধার

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত, বিশেষ করে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত এলাকা, দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাদক, অস্ত্র এবং সোনার চোরাচালানকারীরা প্রায়শই এই রুট ব্যবহার করে থাকে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়মিত টহল ও নজরদারির মাধ্যমে এসব চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সম্প্রতি বিজিবি'র একটি সফল অভিযানে বিপুল পরিমাণ সোনারবার উদ্ধার করা হয়েছে, যা চোরাচালানকারীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩১টি সোনারবার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (২৬ জুলাই) ভোরে মহেশপুর কুমিল্লাপাড়া সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করা হয়।

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মো. সিহানুক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লাপাড়া বিওপির একটি টহল দল নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেইন পিলার ৬০/৭০-আর এর কাছাকাছি এলাকায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে দেখতে পায়। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করলে সে সঙ্গে থাকা তিনটি পোটলা ফেলে দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়।

পরে ফেলে যাওয়া পোটলাগুলো উদ্ধার করে কুমিল্লাপাড়া বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পোটলা খুলে ৩১টি সোনারবার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৪ কেজি ২০৩.১১ গ্রাম। বিজিবির হিসাব অনুযায়ী, উদ্ধারকৃত সোনার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৩ হাজার ৬১৮ টাকা।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া সোনার ব্যাপারে মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জব্দ তালিকা তৈরি করে তা ঝিনাইদহ জেলা কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও চোরাচালান চক্রকে চিহ্নিত করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, "সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে এবং চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।"