হিলিতে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম বেড়েছে। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম প্রকারভেদে ৪ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দাম বাড়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে যে পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, ১০০ টাকা কেজির আদা এখন ১৬০ টাকা, ১৪ টাকা কেজির আলু ১৮ টাকা এবং এক পাতা (৩০ পিস) ডিম ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বিস্তারিত পড়ুন

হিলিতে ৫ আগস্ট বিজয় র‍্যালি সফল করতে পৌর বিএনপির প্রস্তুতি সভা।

বিস্তারিত পড়ুন

পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিক বলেন, "দুই দিন আগে এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৫০ টাকা দিয়ে, আজ শুনি ৭০ টাকা। আমাদের আয় বাড়ে না, কিন্তু জিনিসের দাম বাড়ে। সরকারের কাছে অনুরোধ, সব জিনিসের দাম যেনো কমানো হয়।"

ডিম ক্রেতা আজাদ বলেন, "হঠাৎ ডিমের দাম বেড়ে গেছে। ডিমের দাম কম হলে আমাদের মতো নিম্নবিত্তদের জন্য ভালো হয়, কারণ আমরা তেমন মাছ-মাংস কিনতে পারি না।"

আলু ও আদা ক্রেতা আলী হাসান বলেন, "আজ বাজারে এসে দেখি গত দুই দিনের তুলনায় সব জিনিসের দাম বেশি। ১৪ টাকা কেজির আলু কিনতে হলো ১৮ টাকায়, আবার ৯০ টাকা কেজির আদা ১৫০ টাকায়। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কী করব?"

হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ জানান, "দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে পাইকারি বাজারে দাম অনেক বেড়েছে। আগে ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন মোকামেই আমাদের ৬০-৬২ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। আদার সরবরাহ কমে যাওয়ায় তারও দাম বেড়েছে।"

এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, খাদ্যের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে খামার মালিকেরা ডিমের দাম বেশি নিচ্ছে, ফলে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, "যেহেতু দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে এবং দাম বাড়ছে, তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) দেওয়া হোক, যাতে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক করা যায়।"