মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রেমের টানে চীন থেকে দিনাজপুরে, বাংলাদেশি তরুণীকে বিয়ে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম

প্রেমের টানে চীন থেকে দিনাজপুরে, বাংলাদেশি তরুণীকে বিয়ে

ছবি- সংগৃহীত

বর্তমান ডিজিটাল যুগে দূরত্বের বাধা ঘুচিয়ে দিয়েছে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর ফলে প্রায়ই দেখা যায়, ভিন্ন দেশের ও ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠছে। এমনই এক প্রেমের গল্পের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের দিনাজপুরে। অ্যাপসের মাধ্যমে এক বছর আগে পরিচয় হওয়া এক চীনা নাগরিক তার ভালোবাসার টানে সুদূর চীন থেকে এসে বিয়ে করেছেন দিনাজপুরের এক তরুণীকে। এই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।

ভালোবাসার টানে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরে এসে বাংলাদেশি তরুণী সুরভী আক্তারকে বিয়ে করেছেন চীনা নাগরিক ইয়ং সাও সাও। এখন তিনি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাজীপাড়া শিমুলতলী এলাকায় সুরভীর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন।

জানা গেছে, এক বছর আগে ‘হ্যালো ট্যাগ’ নামক একটি অ্যাপসের মাধ্যমে সুরভীর সঙ্গে পরিচয় হয় ইয়ং সাওয়ের। এরপর গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে তাদের মধ্যে কথোপকথন শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে ভালোবাসার রূপ নেয়।

গত ৪ আগস্ট ইয়ং সাও বাংলাদেশে আসেন এবং ৯ আগস্ট সুরভীকে বিয়ে করেন। সুরভী আক্তার স্থানীয় নুর হোসেন বাবুর বড় মেয়ে। অন্যদিকে, ইয়ং সাও চীনের জিয়াংশু সিটির বাসিন্দা।

সরেজমিনে সুরভীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশেপাশের গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশু-বয়স্ক সবাই ইয়ং সাওকে দেখতে এসেছেন। অনেকে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন এবং মোবাইল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে তিনিও উত্তর দিচ্ছেন। উৎসুক জনতা তার সঙ্গে সেলফি ও ভিডিও তুলছেন।

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে সুরভী আক্তার বলেন, “আমাদের সম্পর্ক এক বছর হলো। পরে সে বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি তাকে জানাই, যদি আমার ধর্ম গ্রহণ করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি আছি। পরে সে বাংলাদেশে আসে এবং আমাকে বিয়ে করে। আমার পরিবার ও এলাকাবাসী এতে অত্যন্ত খুশি।”

সুরভীর বাবা নুর হোসেন বাবু বলেন, “আমার বড় মেয়ের সঙ্গে চীনা নাগরিকের পরিচয় হয় এবং তারা একে অপরকে পছন্দ করে। বাংলাদেশে এসে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটি জানার পর ৯ আগস্ট আমি তাদের ঢাকার গাজীপুর থেকে দিনাজপুরে নিয়ে এসেছি।”

স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের এলাকায় বিদেশি জামাই এসেছে, এটা অবশ্যই ভালো এবং গর্ব করার মতো। আগে তো শুধু টিভিতেই দেখেছি, আর এখন আমাদের নিজেদের এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে।”