শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু: প্রতি ভরি ১.৭১ লাখ টাকা ছাড়াল

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ১১:০১ এএম

নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু: প্রতি ভরি ১.৭১ লাখ টাকা ছাড়াল

ছবি- সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম। বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে কার্যকর হওয়া এই নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবী স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা চলছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার আশঙ্কা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এর ফলস্বরূপ, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে এবং সেই অনুযায়ী দামও বাড়ছে। দেশের বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধি তারই প্রতিফলন।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এখন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায় বিক্রি হবে। এর আগে গত ৭ জুলাই বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাম কমিয়েছিল, যার ফলে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা। কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানো হলো।

অর্থনীতিবিদদের অভিমত, স্বর্ণের এই ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে যারা গহনা কিনতে চান অথবা প্রয়োজনে স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের অর্থনীতিতে এর সরাসরি প্রভাব সীমিত হলেও, সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ওপর এটি পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, উৎসব মৌসুমে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায় এবং মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

অন্যদিকে, রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেটের ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপা ভরিপ্রতি ১ হাজার ৭২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত স্বর্ণের দামে এই অস্থিরতা বজায় থাকবে। যারা স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের আন্তর্জাতিক বাজারের গতিবিধি এবং স্থানীয় বাজুসের সিদ্ধান্তের ওপর নজর রাখা উচিত।