আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ডিম ও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যার ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চরম সংকটে পড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি ৫০ টাকায় এবং এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের কেজি ৮০-৮৫ টাকায় উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে, পরিবারগুলো বাধ্য হয়ে রান্নায় এগুলোর ব্যবহার সীমিত করছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রয়োজনের তুলনায় এখন পেঁয়াজ ও ডিম কম কিনছেন। মিরপুরের গৃহিণী বেগম বলেন, "ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহে যে পরিমাণ ডিম খেতাম, এখন তা কমাতে হয়েছে। পেঁয়াজও আগের মতো ব্যবহার করা যায় না, তাই রান্নার স্বাদ কিছুটা সীমিত হয়েছে।" আরেক গৃহিণী রোকসানা আক্তার বলেন, "ডিম এখন সপ্তাহে দুই-তিন দিন কিনি, আর পেঁয়াজের ব্যবহার অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছি।"
দোকানিরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থার ঘাটতি এবং সিন্ডিকেটের কারসাজিই দাম বাড়ার প্রধান কারণ। খিলগাঁও বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল হান্নান জানান, আগে অনেক ক্রেতা পাঁচ কেজি পেঁয়াজ বা এক ডালি ডিম কিনলেও, এখন তারা আধা কেজি বা মাত্র কয়েকটি ডিম কিনছেন।
সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা এবং প্রতি হালি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। এক মাস আগেও পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ ও ডিমের দাম অনেক বেশি।
বাজারের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। গত ১২ আগস্ট বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে শিগগিরই আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, "যে দেশে সস্তায় পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।"