আগস্ট ২২, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
দেশের কলেজ ও মাদরাসায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ধাপে আবেদন করেও ২৫ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭৬৫ জন। গতকাল বুধবার প্রকাশিত ফলাফলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৮ হাজার ১৫টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৩টি। এসব আসনের বিপরীতে মোট ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ জন ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬২ জন। বাকি ২৫ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেও কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হতে পারেনি।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ৩৭৮টি কলেজ ও মাদরাসায় কোনো শিক্ষার্থীই ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি। এর মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন ৫৬টি, দিনাজপুরে ৪২টি, ঢাকায় ৩৯টি, ময়মনসিংহে ৩৫টি, যশোরে ১৬টি, বরিশালে ১৩টি, কুমিল্লায় ১২টি, সিলেটে ৩টি ও চট্টগ্রামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও, ১৬১টি মাদরাসায় কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি। অবাক করা বিষয় হলো, সারা দেশে ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য কেউ আবেদনই করেনি।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে এই ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখানে শিক্ষার্থীদের কোনো ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় না, বরং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধা, কোটা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়। শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী তাদের ফলাফল এবং পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সামঞ্জস্য না রেখে পরিচিত বা জনপ্রিয় কলেজগুলোতে বেশি আবেদন করে। এর ফলে তাদের পছন্দক্রম ও মেধার ভিত্তিতে আসন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। তবে, যারা প্রথম ধাপে সুযোগ পায়নি, তাদের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আবারও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। যারা প্রথম দফায় আবেদন করেনি, তারাও এই দুই ধাপে আবেদন করতে পারবে। উল্লেখ্য, পরবর্তী ধাপগুলোতে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ সীমিত হয়ে আসে।
গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন পাস করে, অর্থাৎ ছয় লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়।
শিক্ষাসহ সকল খবর সবার আগে জানতে দিনাজপুর টিভি ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দিনাজপুর টিভি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন।