আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর কিছু শিক্ষার্থী তাদের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে। এই প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়ন করার একটি সুযোগ দেয়, যা অনেক সময় ফলাফলে পরিবর্তন নিয়ে আসে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ফলাফলেও এমনটা ঘটেছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুনঃনিরীক্ষণের পর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এই ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে আশা জাগিয়েছে এবং শিক্ষা বোর্ডের মূল্যায়ন পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা তৈরি করেছে।
এসএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ৬৪ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন। একই সঙ্গে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন আরও ৬৫ জন শিক্ষার্থী। রবিবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এবার পুনঃনিরীক্ষণের জন্য মোট ৩২ হাজার ৩০৭ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৬৯ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। মোট ১ হাজার ৭৪২টি উত্তরপত্রের ফল পরিবর্তন হয়েছে এবং ৬৪৬ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে।
গত ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭২.০৭ শতাংশ। বোর্ডের অধীনে ২১৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৬৪টি স্কুলের ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
পুনঃনিরীক্ষণে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হওয়ার ঘটনাটি অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি শিক্ষা বোর্ডের মূল্যায়ন পদ্ধতির ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত দেয়। তবে এই ফল পরিবর্তন অনেক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ খুলে দিয়েছে, যারা প্রথম ফলাফলে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
এই ফলাফল পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করতে পারছে। একই সঙ্গে, এটি প্রমাণ করে যে, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরও যদি কোনো শিক্ষার্থীর মনে কোনো সংশয় থাকে, তবে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।