আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি সংগীতের জগতে একটি নতুন সংযোজন নিয়ে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী জুটি ইকবাল এইচজে এবং আয়েশা তারান্নুম। তাদের গাওয়া নতুন নাশিদ 'রাসূলের মতো চাঁদ' এখন শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এটি কেবল একটি গান নয়, বরং রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার এক কাব্যিক বহিঃপ্রকাশ, যা সুর এবং কথার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে এক নতুন অনুরণন তৈরি করেছে।
এই নাশিদটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর ব্যতিক্রমী সুর এবং হৃদয়স্পর্শী কথা। গানের কথা লিখেছেন প্রতিভাবান গীতিকার রাকিবুল আহসান মিনার, যার লেখনী এই নাশিদের আধ্যাত্মিক গভীরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইকবাল এইচজে তার নিজস্ব ভঙ্গিতে এই গানটির সুর করেছেন, যা তার আগের কাজগুলোর মতোই শ্রোতাদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন পারভেজ জুয়েল, যার দক্ষতায় নাশিদটি পেয়েছে এক মনোমুগ্ধকর রূপ।
এই নাশিদটির নেপথ্যে আরও অনেক প্রতিভাবান কলাকুশলী রয়েছেন। গানের ব্যাকগ্রাউন্ড মেলোডিতে কাজ করেছেন এমডি আল আমিন এবং পারভেজ জুয়েল। মিক্স ও মাস্টারিং-এর কাজটিও পারভেজ জুয়েল দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। গানটির দৃষ্টিনন্দন আর্টওয়ার্ক তৈরি করেছেন সাদ আল আমিন। আর পুরো কাজটি সফলভাবে পরিচালনা করেছেন এইচ আল হাদি, যিনি গানটির দৃশ্যমান এবং শ্রুতিমধুর উভয় দিকই নিশ্চিত করেছেন।
'রাসূলের মতো চাঁদ' গানটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হলো এলান রেকর্ডস ইউএসএ, এবং এর সৃজনশীল প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন মারজিয়া ইকবাল। এই গানটি ফান-ডা-মেন্টাল স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে। গানটির প্রচারের জন্য একটি বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। গানের ইংরেজি লিরিক অনুবাদ করেছেন সাদ আল আমিন, যা গানটিকে আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
গানটি রিলিজ হওয়ার পরপরই সামাজিক মাধ্যমে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইউটিউবে এটি ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ভিউ এবং লাইক পেয়েছে। শ্রোতারা গানটির সুর, কথা এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার প্রশংসা করছেন। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন যে, এই গানটি তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে এবং রাসূল (সা.)-এর প্রতি তাদের ভালোবাসা আরও গভীর করেছে।
এই গানটি এমন একটি সময়ে রিলিজ হয়েছে, যখন মানুষের জীবনে শান্তি এবং আধ্যাত্মিকতার প্রয়োজন আরও বেশি। 'রাসূলের মতো চাঁদ' গানটি সেই প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি কেবল একটি বিনোদনমূলক গান নয়, বরং এটি একটি বার্তা, যা রাসূল (সা.)-এর আদর্শ এবং শিক্ষার কথা বলে। গানটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, শান্তি এবং ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। এটি কেবল একটি নতুন গান নয়, বরং এটি একটি নতুন যাত্রা, যা সংগীতের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়কে সত্যের পথে পরিচালিত করবে।