আগস্ট ১০, ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন, তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এই পদক্ষেপটি স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে স্বাস্থ্য খাতের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম এবং অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলামের ২৫ বছরের চাকরি পূর্ণ হয়েছে। জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া প্রয়োজন মনে করে সরকার। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সকল আর্থিক সুবিধা পাবেন।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট জারি করা অন্য এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসানকেও একই প্রক্রিয়ায় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তিনিও ২৫ বছরের চাকরি পূর্ণ করেছেন এবং জনস্বার্থে তাকে অবসর প্রদান করা হয়েছে।
ডা. শামিউল ইসলামের কর্মজীবন: অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম তার কর্মজীবনে বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডা. কামরুল হাসানের কর্মজীবন: অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব পদেও কর্মরত ছিলেন।
সরকারের এই পদক্ষেপটিকে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সংস্কারের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের অন্যান্য বিভাগেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।