আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১১:৪০ পিএম
দুবাই পুলিশ অবিশ্বাস্য দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ২৫ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বিরল একটি গোলাপি হীরা চুরির মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করেছে। এই দুঃসাহসিক চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজন সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সফল অভিযানকে 'অপারেশন পিংক ডায়মন্ড' নামে অভিহিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের সনদপ্রাপ্ত এই হীরাটির খাঁটি মান অত্যন্ত বিরল। এর মতো হীরা খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ০.০১ শতাংশ। তাই এর বাজারমূল্য এত বেশি। দুবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ব্রিগেডিয়ার জামাল আল-জ্বাল্লাফ জানান, এই চক্রটি প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই চুরির পরিকল্পনা করছিল।
তদন্তে উঠে আসে, ইউরোপ থেকে হীরা নিয়ে আসা এক ব্যবসায়ীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিল অপরাধীচক্র। তারা নিজেদের ধনী ক্রেতা হিসেবে পরিচয় দেয় এবং তার বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়া, পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক এবং নকল হীরা বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করে। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবসায়ীকে একটি ভিলায় নিয়ে গিয়ে হীরা দেখানোর মুহূর্তে সেটি ছিনিয়ে নেয়।
চুরির খবর পাওয়ার পর দুবাই পুলিশ কোনো কালক্ষেপণ না করে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে। উন্নত প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা তিনজন এশীয় সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ফ্রিজে লুকানো অবস্থায় হীরাটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত হীরাটির ওজন ২১.২৫ ক্যারেট। এটি ‘ফ্যান্সি ইনটেন্স’ শ্রেণির হীরা। এর নিখুঁত স্বচ্ছতা ও সিমেট্রি এটিকে অত্যন্ত দুর্লভ করে তুলেছে। হীরাটির মালিক দুবাই পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপকে ‘অদ্ভুত ও প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, চুরির অভিযোগ জানানোর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং পরদিন সকালেই তাকে ফোন করে জানানো হয় হীরাটি উদ্ধার করা হয়েছে।