বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

লাখো মানুষের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ার ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:০৪ এএম

লাখো মানুষের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ার ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস

ছবি- সংগৃহীত

লাখো মানুষের উচ্ছ্বাস ও দেশাত্মবোধের আবহে মালয়েশিয়া উদযাপন করেছে তাদের ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস। প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার দাতারান প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মহা-অনুষ্ঠানে দেশটির আন্তর্জাতিক খ্যাতি, জাতীয় ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দৃপ্তভাবে ফুটে ওঠে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মাদানি মালয়েশিয়া: রাকিয়াত দিসানতুনি’।

উৎসব শুরু হয় সুলতান ইব্রাহিম ও রাজা জারিথ সোফিয়ার আগমনের মধ্য দিয়ে, যেখানে রাজা নিজেই নীল রঙের প্রোটন স্যাট্রিয়া নিও গাড়ি চালিয়ে আসেন। এর পর জাতীয় সঙ্গীত ‘নেগারাকু’ গাওয়া হয় এবং পতাকা উত্তোলন করা হয়। রয়্যাল আর্টিলারি রেজিমেন্টের নেতৃত্বে ১৪টি তোপধ্বনিতে মালয়েশিয়ার ১৪টি রাজ্যের প্রতীকী প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো উৎসবের চূড়ান্ত আকর্ষণ ছিল কুচকাওয়াজ, যেখানে ২১টি মার্চিং ব্যান্ড, সাতটি ভাসমান ফ্লোট এবং ১৪,০৬২ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেয়। এটি ছয়টি ভাগে বিভক্ত ছিল: জাতীয়তা, জনগণের শোভাযাত্রা, মঙ্গল, জাতীয় নিরাপত্তা, বিমান প্রদর্শনী এবং বিশেষ মাদানি পরিবেশনা।

এই উৎসব কেবল একটি প্রদর্শনী ছিল না, এটি ছিল মালয়েশিয়ার জনগণের ঐক্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। বিখ্যাত শিল্পী সিটি নুরহালিজার পরিবেশনায় নতুন থিম সং-এ হাজার হাজার দর্শক কণ্ঠ মিলিয়ে এক অনন্য সংহতির বার্তা তৈরি করেন। কুয়ালালামপুর থেকে আসা দর্শনার্থী নুরহানিজাহ বলেন, "এই উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ভিন্ন ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি সত্ত্বেও আমরা সবাই এক মালয়েশিয়ান।"

১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট মালয়েশিয়া ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছে।