সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৯:২১ এএম
ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, "আমি মনে করি, এক বা দুই মাসের মধ্যে, ভারত আলোচনার টেবিলে আসবে, তারা বলবে আমরা ক্ষমা চাই। এবং তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করবে।"
লুটনিক ভারতকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তিনি ভারতের বর্তমান অবস্থানকে "আস্ফালন" বলে অভিহিত করে বলেন, "সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্টের সঙ্গে লড়াই করাটা ভালো লাগা দেয়। কিন্তু দিন শেষে, নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই তারা আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করবে।"
তিনি আরও বলেন, "ভারত তাদের বাজার খুলবে না, রাশিয়ার তেল কেনা থামাবে না, আর ব্রিকস থেকেও সরবে না। যদি ভারত রাশিয়া আর চীনের মধ্যে মিলবন্ধন হতে চায়, তো তারা হোক। কিন্তু যদি এটি না পারেন তাহলে ডলারকে সমর্থন করুন, যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করুন, আপনার সবচেয়ে বড় গ্রাহককে সমর্থন করুন। নয়তো ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে প্রস্তুত হন।"
মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোস্ট: এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যালে' একটি পোস্টে বলেন, "দেখে মনে হচ্ছে আমরা গভীর অন্ধকার চীনের কাছে ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি। আমি তিন দেশেরই সাফল্য কামনা করছি।" ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরই বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটি প্রকাশিত হয়, যা দুই দেশের সম্পর্কের জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিশ্লেষণ: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মার্কিন মন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য মূলত ভারতকে চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান নৈকট্য তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, ভারত এর আগে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তারা তাদের জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করবে, এবং কোনো বহিরাগত চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।