সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তার দেশের সামরিক প্রযুক্তিকে আধুনিকীকরণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, সামরিক ড্রোন ও নজরদারি প্রযুক্তি উন্নয়নে এআই এখন ‘শীর্ষ অগ্রাধিকার’। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কিম পিয়ংইয়ংয়ের আনম্যানড এরোনটিক্যাল টেকনোলজি কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বহুমুখী ড্রোন ও নজরদারি বিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা তদারকি করেন এবং দ্রুত এআই প্রযুক্তি বিকাশ ও ড্রোনের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
এর মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কিম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য একটি নতুন সলিড-ফুয়েল রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা তদারকি করেছিলেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তির মধ্যে পারমাণবিক ওয়ারহেড, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এবং গুপ্তচর স্যাটেলাইট কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে উত্তর কোরিয়ার এআই সক্ষমতার সঠিক চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়। স্বাধীন বিশ্লেষণ সংস্থা ৩৮ নর্থ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং প্রধানত চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু একাডেমিক মহলের সঙ্গে সীমিত সহযোগিতায় এআই গবেষণা চালাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটি এআই খাতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল।
কিমের শাসনামলে উত্তর কোরিয়া চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। গত বছর কিম এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও একটি জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়াকে ১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিলেও, উত্তর কোরিয়া বিনিময়ে মাত্র ৪৫৭ মিলিয়ন থেকে ১.১৯ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ খাদ্য, জ্বালানি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কিছু যুদ্ধবিমান পেয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া এখন গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। তাদের এই সামরিক সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার উত্তর-পূর্ব এশীয় মিত্রদের জন্য একটি বড় হুমকি তৈরি করেছে।