বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

অবৈধ সম্পদের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা এ্যানি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

অবৈধ সম্পদের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা এ্যানি

ছবি- সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এ্যানি চৌধুরী আজ আদালতে হাজির ছিলেন এবং তার উপস্থিতিতেই আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তার আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, তানজীম চৌধুরী ও খায়রুল ইসলাম লিটন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ১৬ জুলাই এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৩ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছিল।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এর মধ্যে জমি ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের কুশখালীতে তার নামে স্কুলে অনুদান বাবদ ১০ লাখ টাকা অর্থাৎ মোট ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্যদিকে, দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণের দাবি করা হয়। এ্যানির দেওয়া তথ্য অনুসারে, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকা, যার মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দায় হিসেবে দেখানো হয়েছিল। অর্থাৎ দায় বাদ দিলে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা। ২০১৩ সালের ৩০ জুন দেওয়া সম্পদ বিবরণী অনুসারে তার ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।

২০১৬ সালের ২৪ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় এ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির আবেদনে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পাশাপাশি কেন মামলাটি বাতিল করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন। পরে ২০১৯ সালের ১৪ মে বিচারিক আদালতে চলা মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।