বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত রিমান্ডে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত রিমান্ডে

ছবি- সংগৃহীত

২৯৭ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এই ঘটনা দেশের ব্যাংকিং খাতের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।

এদিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আবুল বারকাতকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে হাজির করা হয়। কাঠগড়ায় তোলার পর তার দুই মেয়ে বাবার কাছে ছুটে আসেন। সে সময় বিচারক এজলাসে ছিলেন না। এই ফাঁকে আবুল বারকাত তার বড় মেয়ের কোলে থাকা নাতিকে কোলে নিয়ে আদর করেন। এরপর ছোট মেয়েকে কাছে ডেকে তার কপালে চুমু খান। এ সময় বারকাত ও তার মেয়েদের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়, যা আদালতের পরিবেশে এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি করে।

 

বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে বিচারক এজলাসে আসার পর আবুল বারকাতের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। তিনি আদালতকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ হিসেবে ড. আবুল বারকাতকে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ ঋণ জালিয়াতি করেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার রিমান্ড প্রয়োজন বলে পিপি উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর রহমান রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ড. আবুল বারকাতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এই মামলাটি অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে জনতা ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত। ড. আবুল বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই ঋণ অনুমোদনে তার ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন এবং ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতার বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

দুদকের এই পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত বহন করে। দুই দিনের রিমান্ডে ড. আবুল বারকাতের কাছ থেকে এই ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।