জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় তদন্তে গ্রেপ্তার মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এই নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় মোট ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যার মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বুধবার পারভেজ ও জহিরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে, রিমান্ড শুনানির সময় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পুলিশ এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত মোট ১১ আসামি হলেন:
-
মাহমুদুল হাসান মহিন
-
টিটন গাজী
-
মো. আলমগীর
-
মনির ওরফে লম্বা মনির
-
তারেক রহমান রবিন
-
সজীব ব্যাপারী
-
মো. রাজিব ব্যাপারী
-
নান্নু কাজী
-
রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু
-
মো. পারভেজ (নতুন গ্রেপ্তার)
-
মো. জহিরুল ইসলাম (নতুন গ্রেপ্তার)
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব ও ২০ জুলাই মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া, রিমান্ড শেষে রাজিব বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করে। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ব্যবসা করে আসছিলেন।
এই ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও, পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করেছে। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন: