মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট আজ, পালিত হচ্ছে গণ-অভ্যুত্থান দিবস।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৫, ১১:০৬ এএম

ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট আজ, পালিত হচ্ছে গণ-অভ্যুত্থান দিবস।

ছবি- সংগৃহীত

আজ সেই ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট। গত বছরের এই দিনে ছাত্র-জনতার এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৬ বছরের 'স্বৈরাচারী' শাসনের অবসান হয়। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ৫ আগস্টকে গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দিনটি উপলক্ষে আজ দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।


গত বছরের ১ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়ন, গণগ্রেফতার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে রূপ নেয় এক দফা সরকার পতনের দাবিতে। সেই আন্দোলন সারা বিশ্বে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নামে পরিচিতি লাভ করে। ৫ আগস্ট কারফিউ উপেক্ষা করে গণভবন অভিমুখে লাখো মানুষের ঢল নামলে পরিস্থিতির চূড়ান্ত পরিবর্তন হয় এবং শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়, যা মাত্র ছয় মাসের মাথায় ভেঙে গিয়েছিল।

 গণ-অভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ বাণী দিয়েছেন। দিবসটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হিসেবে আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন, যা বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

 রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের ত্যাগকে স্মরণ করেছেন। তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার নৃশংসতা নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনায় ১১৮ শিশুসহ প্রায় এক হাজার ৪০০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করা হয় এবং প্রায় ১২ হাজার মানুষ আহত হন।