মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল সরকার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল সরকার

ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতি প্রকাশ করে নোয়াবের অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেস উইংয়ের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, বরং একটি মুক্ত ও ভয়মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এর উদ্বেগ প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বলেছে, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয়, কার্যক্রম বা ব্যবসায়িক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং, অতীতের সরকারের আমলে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া কিছু গণমাধ্যমকে পুনরায় প্রকাশ বা সম্প্রচারে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রেস উইং জানায়, তারা ভুল তথ্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার বিপক্ষেও ব্যতিক্রমী সংযম অনুশীলন করেছে। এমনকি টেলিভিশনের টকশো ও কলামে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উসকানিমূলক দাবি তুলে ধরা হলেও কোনো সেন্সর আরোপ করা হয়নি।

 প্রেস উইং নোয়াবের অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি নিয়ে করা সমালোচনাকেও ভুল তথ্য বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগের ত্রুটিপূর্ণ অ্যাক্রেডিটেশন কাঠামো ভেঙে দিয়ে একটি অস্থায়ী পাশ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা প্রকৃত সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে।

এছাড়াও, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে, এটি সরকারি নির্দেশে নয়, বরং গণমাধ্যম মালিকদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফল। বিবৃতিতে একটি নতুন ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের কথাও জানানো হয়েছে, যা সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি করবে।

পরিশেষে প্রেস উইং নোয়াবকে নিজেদের সদস্যদের কার্যক্রম পরীক্ষা করার এবং মজুরি শোষণ ও শ্রম অধিকার অস্বীকারের মতো অন্যায্য আচরণের জন্য জবাবদিহি করার পরামর্শ দিয়েছে।