সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: প্রধান আসামি মহিনের আদালতে দায় স্বীকার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২০, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: প্রধান আসামি মহিনের আদালতে দায় স্বীকার

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গত রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত তার এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন, যা মামলার তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আদালত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রিমান্ড শেষে আসামি মহিনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মহিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং পরবর্তীতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, গত ১০ জুলাই প্রথম দফায় পাঁচদিন এবং ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মহিনের আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী এবং রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। এদের মধ্যে মহিন ছাড়াও গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেতলে হত্যা করা হয়। সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। এই লোমহর্ষক ঘটনায় নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই সাথে, পুলিশ একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করেছে।