আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
দেশের পরিবেশ, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত এক বছরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে বনভূমি পুনরুদ্ধার, বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণ এবং বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব সাফল্যের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গত এক বছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৫ হাজার একরের বেশি বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী রক্ষায় পরিচালিত ২৯৩টি বিশেষ অভিযানে ৫ হাজার ৬০০টির বেশি প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, গত এক বছরে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
-
কক্সবাজার, সোনাদিয়া ও জাফর আলম ক্যাডেট কলেজের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ হাজার ৩২২ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
-
৫০৯৩ একর দখলকৃত বনভূমি উদ্ধার করে সেখানে বনায়ন করা হয়েছে।
-
বহুল প্রত্যাশিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
-
মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
-
চুনতি বন ও শেরপুরের বনভূমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে হাতির করিডোর তৈরি এবং জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সুরক্ষা:
-
পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে শপিংমল, উৎপাদন কারখানা ও কাঁচাবাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে।
-
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ৮৩০টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
-
অবৈধ সীসা কারখানা বন্ধ এবং শব্দদূষণ রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
-
গাজীপুরের গাছা খালে দূষণকারী ৯টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
-
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সফল উদ্যোগের ফলে দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি ফিরতে শুরু করেছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে ১৫৯টি ইআরটি টিম গঠন, বিলুপ্ত দেশি ময়ূর ফিরিয়ে আনা, এবং বন্যপ্রাণী আইন যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।