আগস্ট ১০, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
আয়কর রিটার্নে 'জিরো রিটার্ন' নামে কোনো ব্যবস্থা নেই। শূন্য আয়ের তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রবিবার (১০ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আয়কর রিটার্নে মিথ্যা তথ্য বা তথ্য গোপন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এনবিআর আরও জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'জিরো রিটার্ন' দাখিল বিষয়ক যে আলোচনা চলছে, তা সম্পূর্ণ 'ভুয়া' এবং এ ধরনের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য করদাতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এনবিআরের নজরে এসেছে যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু পোস্ট ছড়িয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে রিটার্ন পূরণের সবকটি ঘর "শূন্য" হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায়। এই ভ্রান্ত ধারণার কারণে অনেক করদাতা তাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা দিচ্ছেন বলে এনবিআর জানতে পেরেছে।
করদাতাদের জ্ঞাতার্থে এনবিআর জানিয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে 'জিরো রিটার্ন' নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। একজন করদাতাকে তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে। এর কোনো একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
যদি কোনো করদাতা তার আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য দেন, তাহলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুযায়ী তাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
এনবিআর মনে করিয়ে দিয়েছে, সঠিক তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনগত দায়িত্ব। করযোগ্য আয় না থাকলেও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক। শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিলের কোনো সুযোগ আয়কর আইনে নেই। দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে সৎভাবে রিটার্ন দাখিল করার জন্য এনবিআর সকল করদাতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।