সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে

ছবি- সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রের কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রণীত জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর এই ঐতিহাসিক দলিলটি প্রস্তুত করেছে। চূড়ান্ত খসড়ায় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে ব্যাপক সংস্কারের রূপরেখা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই সনদকে একটি বিশেষ মর্যাদা এবং আইনি ভিত্তি প্রদানের জন্য এতে আটটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে ভবিষ্যতে কোনো আইন বা সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সনদের প্রস্তাবনাগুলোই প্রাধান্য পাবে।

চূড়ান্ত খসড়ার ভূমিকায় বলা হয়েছে, দুই শতাধিক বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরও দীর্ঘ ৫৩ বছরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পায়নি। শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বারবার হোঁচট খেয়েছে, এবং বিগত পাঁচ দশকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সংবিধান সংশোধন, নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়, যেখানে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারী শাসক ও তার দোসররা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই পটভূমিকায় রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এই সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে গত ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়, যার মধ্যে ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলো গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এই কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের অনুলিপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে, ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি পাঁচটি কমিশনের ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়। মোট ৩৫টি দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে জমা দেয়। প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে ২০২৫ পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মোট ৪৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে কিছু দলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করা হয়। এই প্রক্রিয়ার ফসল হিসেবেই বর্তমান ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ সর্বসম্মতভাবে প্রণীত হয়েছে।

সনদে ঐকমত্যে উপনীত হওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান। এতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হবে, তবে নাগরিকদের মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহৃত অন্যান্য সকল ভাষাকে দেশের প্রচলিত ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ৩০টি দল ও জোট এই বিষয়ে একমত হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয় ‘বাংলাদেশি’ বলে পরিচিত হবে, যা নিয়ে ৩১টি দল ও জোট একমত। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে, তবে প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, প্রধানমন্ত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো সুনির্দিষ্ট কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য গণভোটের প্রয়োজন হবে বলে ৩০টি দল ও জোট ঐকমত্য পোষণ করেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রে ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগের’ পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে এবং এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা হবে।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে সংবিধানে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকবে, যা ৩১টি দল ও জোট সমর্থন করেছে। সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে একটি বহু-জাতি, বহু-ধর্মী, বহু-ভাষী ও বহু-সংস্কৃতির দেশ হিসেবে সংবিধানে যুক্ত করা হবে, যা ৩৩টি দল ও জোটের সমর্থন পেয়েছে। মৌলিক অধিকারের তালিকা সম্প্রসারণ করে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা ও বাস্তবায়নে সাংবিধানিক ও আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে, যা ৩১টি দল ও জোট সমর্থন করেছে।

রাষ্ট্রপতি সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। রাষ্ট্রপতি নিজ এখতিয়ারবলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল, আইন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দিতে পারবেন। ২৮টি দল ও জোট এই বিষয়ে একমত হয়েছে, যদিও বিএনপি, এনডিএম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং ১২ দলীয় জোটের মতো কিছু দল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্দিষ্ট কয়েকটি পদে নিয়োগের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়াবলী। এই সনদে একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে যত মেয়াদ বা যতবারই থাকুন না কেন, তিনি সর্বোচ্চ ১০ বছর এই পদে থাকতে পারবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে। তবে বিএনপি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এই প্রস্তাবের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না, এমন বিধানও সংবিধানে যুক্ত করা হবে, যার সঙ্গেও বিএনপি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ভিন্নমত রয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিস্তারিত প্রক্রিয়াও এই সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ অবসানের ক্ষেত্রে ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত সংসদ ভেঙ্গে গেলে ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। পাঁচ সদস্যের একটি 'নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটি' গঠিত হবে, যার সভাপতিত্ব করবেন স্পিকার। এই কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল এবং স্বতন্ত্র সদস্যদের কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যক্তির নাম চেয়ে পাঠাবে। যদি এ প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তি চূড়ান্ত না হয়, তবে সরকারি দল/জোট ও প্রধান বিরোধী দল/জোটসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে 'র‌্যাংকড চয়েজ' বা ক্রমভিত্তিক ভোটিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় যদি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো না যায়, তবে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অনুসরণ করা হবে, তবে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ অনধিক ৯০ দিন হবে এবং দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে তা আরও ৩০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ কার্যকরী স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। এছাড়া, স্থানীয় সরকারের কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের অধীনস্থ থাকবেন বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে। ২৬টি দল ও জোট এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে।

আইনসভা গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো, বাংলাদেশে একটি দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা থাকবে, যার নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) এবং উচ্চকক্ষ (সিনেট) ১০০ সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। উচ্চকক্ষের সদস্যরা নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। যদিও বিএনপি ও এনডিএম এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয়। উচ্চকক্ষের মেয়াদ ৫ বছর হবে, তবে নিম্নকক্ষ ভেঙে গেলে উচ্চকক্ষও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। উচ্চকক্ষ বিল স্থায়ীভাবে আটকাতে পারবে না, তবে পর্যালোচনা করে পুনর্বিবেচনার জন্য নিম্নকক্ষে পাঠাতে পারবে।

এই সনদে জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নিত করার লক্ষ্যে বিশেষ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫% নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে ৩৩% এ উন্নীত করা হবে। এছাড়া, ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধী দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান এবং জাতীয় সংসদের পাবলিক একাউন্টস কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, অনুমিত হিসাব কমিটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি পদে বিরোধী দলের মধ্য থেকে নির্বাচন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিচার বিভাগ সম্পর্কিত প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে আপীল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে, যা ২৯টি দল ও জোট সমর্থন করেছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পেলে আপীল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুইজন বিচারপতির মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (JAC) গঠন করা হবে বলে ২৬টি দল ও জোট ঐকমত্য পোষণ করেছে।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞের ফসল হিসেবে প্রণীত জুলাই সনদ বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোতে এক নতুন রূপরেখা তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শুধু একটি আইনি দলিল নয়, বরং গণঅভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি প্রতীক।