আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তাদের অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ঢাকা সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, "৫৪ বছরের সমস্যাগুলোর সমাধান এক ঘণ্টায় করে ফেলবো, এটা প্রত্যাশা করা বাস্তবসম্মত নয়।" তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষ একটি বিষয়ে একমত হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণভাবে এগিয়ে নিতে হলে অতীতের সমস্যাগুলো পেছনে ফেলে সামনে এগোতে হবে। যদিও এই বিষয়ে উভয় দেশ নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারে তারা একমত হয়েছে, যা একটি অগ্রগতি বলে তিনি মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে কিনা - এই প্রশ্নে উভয় দেশের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। ইসহাক দার দাবি করেছেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি এবং ২০০২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে তৌহিদ হোসেন বলেন, "আমি অবশ্যই একমত না। একমত হলেতো সমস্যাটার সমাধান হয়ে যেত তাদের মতো করে।"
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি প্রধান বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে:
-
গণহত্যার জন্য ক্ষমা: বাংলাদেশ চায় পাকিস্তান ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাক।
-
সম্পদের হিস্যা: মুক্তিযুদ্ধের আগে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া সম্পদের হিসাব ও হিস্যা নিয়ে আলোচনা।
-
আটকেপড়া পাকিস্তানি: আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়া।