আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং পুরোনো ও পরিবেশ দূষণকারী যানবাহন অপসারণের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে এই উদ্যোগগুলো পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। ফলস্বরূপ, তারা তাদের ৮ দফা দাবি তুলে ধরেছেন এবং দাবিগুলো মানা না হলে আগামী মঙ্গলবার থেকে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এই ধর্মঘট সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অচল করে দিতে পারে—এই আশঙ্কায় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন এবং ধর্মঘট প্রত্যাহার নিশ্চিত করা।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট ঠেকাতে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সরকার। পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানকারী মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর ৮ দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ৩টায় রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা পরিবহন-মালিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা রাজনৈতিক সরকার নই এবং আপনাদের প্রতিপক্ষও নই। তবে দেশের সড়কে মেয়াদহীন গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, যা সড়ক থেকে সরাতে হবে। আপনাদের দাবিগুলো যাচাই করতে আমাদের এক মাস সময় লাগবে।”
মালিক ও শ্রমিকদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কিছু ধারা সংশোধন করা, বাণিজ্যিক যানবাহনের অর্থনৈতিক জীবনকাল ৩০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, এবং মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান স্থগিত রাখা। এছাড়াও, তারা পুরোনো গাড়ির জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা তৈরি, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়া এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন।
যদি তাদের দাবিগুলো মানা না হয়, তাহলে তারা আগামী মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই ধর্মঘট সারা দেশে বড় ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার এখন এই বৈঠক থেকে একটি ইতিবাচক সমাধান আশা করছে, যাতে ধর্মঘট এড়ানো যায় এবং দেশের স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল থাকে।