আগস্ট ৬, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
৫ আগস্ট, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ত্যাগের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। গণভবন থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া এবং পরবর্তীতে সামরিক বিমানে করে ভারতে চলে যাওয়ার বিস্তারিত চিত্র এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের ভোরে শেখ হাসিনা গণভবনে ছিলেন এবং তার আস্থাভাজন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জানান যে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং গণভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। সকাল ৯:৩০-এর দিকে তিন বাহিনীর প্রধান তার সঙ্গে দেখা করেন এবং জানান যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।
প্রথমে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানালেও, পরে তার পুত্র জয়-এর বোঝানোর পর তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর তাকে দুপুরে গণভবন থেকে বের করে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারিক সিদ্দিকীসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তার শেষবারের মতো দেখা হয়।
বেলা ৩টা ৯ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে করে শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা এবং ভাগ্নে ববিসহ মোট তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। বিমানটি প্রশিক্ষণ মিশন হিসেবে উড্ডয়ন করে এবং বাংলাদেশের আকাশসীমা পার হওয়ার সময় এর ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রাখা হয়েছিল। বিমানটি প্রথমে যশোর হয়ে ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং কলকাতা পৌঁছানোর পর ট্রান্সপন্ডার চালু করা হয়। অবশেষে বিমানটি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
এই ঘটনার পর সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের খবর নিশ্চিত করেন।