আগস্ট ১২, ২০২৫, ১০:১৯ এএম
ক্রিকেটে একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার তরুণ প্রজন্মের পারফরম্যান্সের ওপর। সেই তরুণ ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তৈরি করতে বিসিবির রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আগামী বছর যুব বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে একটি কঠোর এবং টানা সূচির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। একের পর এক সিরিজ ও টুর্নামেন্ট তাদের কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করছে, যেখানে বিশ্রামের সুযোগ খুবই সীমিত।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েতে টানা সিরিজ খেলার পর মাত্র এক সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এরপরই তাদের আবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে হবে, যা আগামী বছরের যুব বিশ্বকাপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সম্প্রতি আজিজুল হাকিমদের দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনটি ওয়ানডে খেলার পর জিম্বাবুয়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয়। এই সফরগুলোতে সব মিলিয়ে তারা ১১টি ম্যাচ খেলে এবং এর মধ্যে নয়টিতেই জয় পায়। দুটি ম্যাচে অল্প ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা।
আজ দেশে ফেরার পর দলটির ক্রিকেটাররা এক সপ্তাহ বিশ্রাম পাবেন। এরপর ২২ আগস্ট থেকে তাদের অনুশীলন শুরু হবে। ১ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডে যাবে দলটি। সেখানে তারা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
ইংল্যান্ড সফর শেষে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবে দল। তবে এরপরও তাদের সূচি ব্যস্ত থাকবে। অক্টোবরের শেষদিকে আফগানিস্তানের যুব দল বাংলাদেশে আসবে। এরপর ডিসেম্বরে রয়েছে এশিয়া কাপ। এই টানা ব্যস্ত সূচি প্রমাণ করে যে, যুব বিশ্বকাপের জন্য বিসিবি ক্রিকেটারদের কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয়।