আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যসহ (প্রশাসন) অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষ আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে। এই ঘটনাটি সারাদেশ জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিরাপত্তার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
শনিবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাড়িতে এক নারী শিক্ষার্থী দেরিতে প্রবেশ করতে গেলে তাকে মারধর করেন ভবনের দারোয়ান। এই খবর শুনে অন্য শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভোর ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা।
উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য নির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষার বিষয়ে পরে জানানো হবে।”