আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে একটি সাধারণ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার খেলোয়াড়দের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা শুক্রবার এক ভয়াবহ গ্রাম্য দাঙ্গায় রূপ নিতে যাচ্ছিল। মাইকে ঘোষণা দিয়ে এবং ঢোল বাজিয়ে কয়েকশ মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের মহড়া দিতে শুরু করে। তবে ভাঙ্গা থানা পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কোনো সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের উপক্রম হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিদ্যানন্দী মাঠে খেলার সময় খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তারই জেরে শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ঢোল বাজিয়ে এবং মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রায় কয়েকশ গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের মহড়া দেয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আলগী ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে ফুটবল খেলা চলছিল। সেই সময় সুয়াদি গ্রামের কয়েকজন খেলোয়াড় বিদ্যানন্দী গ্রামের কয়েকজন ছেলেকে খেলা থেকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর সুয়াদি গ্রামের লোকজন বিদ্যানন্দী, সুখনি, নোয়াকান্দা এবং আউড়াকান্দির কয়েকজন ছেলেকে মারধর করে।
এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার দুপুরে বিদ্যানন্দী, সুখনি, নোয়াকান্দা এবং আউড়াকান্দি গ্রামের কয়েকশ মানুষ একত্রিত হয়। তারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে এবং ঢোল বাজিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে সুয়াদি গ্রামের দিকে রওনা দেয়। তাদের এই মহড়া দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওসি বলেন, "আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকশ গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেছি। এতে একটি বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।"