আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স ৪ মাস ১৮ দিন পর খোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
টাকা গণনার জন্য পাগলা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের স্টাফ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। মোট প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য এই গণনাকাজে নিয়োজিত আছেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে একটি অত্যাধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এটি ১০ তলাবিশিষ্ট হবে, যেখানে এতিমদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা, সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া এবং আইটি সেকশন থাকবে। মসজিদের বর্তমান আয়তন ৫.৫ একর। এই কমপ্লেক্সের জন্য আরও কিছু জায়গা কেনা হবে। বর্তমানে পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা জমা আছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে টাকা গণনা ও ব্যাংকে জমা দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মানুষ এই মসজিদে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ও নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন।