আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:২৬ এএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয়াবহ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পটভূমি ও সংঘর্ষের বিবরণ: গত শনিবার (৩০ আগস্ট) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে তার ভাড়া বাসার দারোয়ান মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে দারোয়ানকে ধরতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে এবং একে অপরের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এই সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতও ছিল।
কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ: সংঘর্ষের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, গতকালের ঘটনায় যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আটকা পড়েছিলেন, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বর্তমানে একটি জরুরি সভা করছে। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর মতো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলছে। সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।