আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
দেশের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং চালক ও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করেছে। তবে এই আইনের কিছু ধারা নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাদের আট দফা দাবি পূরণ না হলে আগামী ১২ আগস্ট থেকে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এই ধর্মঘট হলে জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ১২ আগস্ট থেকে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) যশোর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনের কিছু ধারা সংশোধন এবং পুরনো যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, যোগাযোগ উপদেষ্টার কাছে তাদের আট দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। এই দাবিগুলো হলো:
-
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৮ ও ১০৫ নম্বর ধারা সংশোধন করা।
-
পুরনো বাণিজ্যিক যানবাহনের আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে ৩০ বছর করা।
-
বাজেটে বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর আরোপিত দ্বিগুণ আয়কর কমিয়ে আনা।
-
বাণিজ্যিক রিকন্ডিশন যানবাহন আমদানির সময়সীমা বাড়ানো।
-
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়া।
-
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন করা।
-
মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন ও অনুমোদনহীন হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা।
-
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন দ্রুত করা এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা বাস্তবায়ন করা।
সাইফুল আলম বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার কারণে চালকের জামিন না পাওয়ার যে ধারা রয়েছে, তা সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, জামিন পাওয়া নাগরিক অধিকার এবং এটি আদালতের এখতিয়ার। তাই আইনে জামিন নিষিদ্ধ করে রাখা উচিত নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামী ১২ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে।