আগস্ট ৬, ২০২৫, ১১:০০ পিএম
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় চুরির সন্দেহে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় এলাকাসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। নিহত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশের সাথে সাথে পুলিশ ও র্যাব এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে তৎপর হয়। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত এনামুল হক দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সম্প্রতি র্যাব-১৪ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা থানায় চুরির সন্দেহে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি এনামুল হককে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। র্যাব-১ এর সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে র্যাব জানায়, গত ১০ মে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাতে হঠাৎ মানসিক সমস্যার কারণে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে গভীর রাতে তিনি পাগলা থানার বাইলনা টেকপাড়ায় এনামুল হকের গোয়ালঘরে খোলা পেয়ে সেখানে আশ্রয় নেন।
এনামুল হক চোর সন্দেহে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এ সময় এনামুল হকসহ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আঘাত করে এবং একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যায়। পরে লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান (৪৯) বাদী হয়ে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামি এনামুল হক পলাতক ছিলেন। র্যাব এই মামলার ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১ এর সহায়তায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর এনামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাকে পাগলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাবের এই সাফল্য স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে এবং ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।