আগস্ট ২, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
চট্টগ্রামের বাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম, যা জুলাই মাসের শুরুতে একবার বাড়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছিল। এখন সব ধরনের চালের বস্তায় ২৫০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে, যা উপজেলা পর্যায়ে আরও বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বোরো মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কমেছে। তবে, কিছু অসাধু মিলমালিক ও ব্যবসায়ী বেপরোয়াভাবে চাল মজুত করছেন এবং কিছু করপোরেট হাউজ সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বিপুল পরিমাণ চাল মজুত করে বাজারকে অস্থির করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চালের পাশাপাশি সয়াবিন তেল, পামঅয়েল, মসুর ডাল, মুগ ডাল ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামও কোনো কারণ ছাড়াই বেড়েছে।
জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেও দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর চাক্তাই চালপট্টিতে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
নগরীর পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির মোটা সিদ্ধ চালের দাম ৩০০ টাকা বেড়ে মানভেদে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট আতপ চালের দাম প্রতি বস্তায় ২৫০-৩০০ টাকা বেড়ে ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা, এবং দিনাজপুরী পাইজাম চাল ৪ হাজার ৪০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা সিদ্ধ চালের দামও বেড়ে প্রতি বস্তা ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। খুচরা বাজারে নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৮৫-৯০ টাকা, মিনিকেট ৮০-৮৫ টাকা, মাঝারি মানের বিআর ২৮ ও ২৯ চাল ৬২-৬৫ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে প্রতি কেজিতে ৪-৫ টাকা কম ছিল।
চালের পাশাপাশি খুচরা বাজারে গত দুদিনে সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম বেড়েছে। মসুর ডাল কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে মাঝারি দানা ১০৫-১২৫ টাকা এবং ছোট দানা ১৩০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১২০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৭৫-৩৭৮ টাকা (২ লিটার), খোলা পামঅয়েল ১৫০-১৫৫ টাকা এবং সুপার পামঅয়েল ১৫২-১৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টির প্রভাবে সবজির দামও বেড়েছে, যদিও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে ইলিশ মাছ এখনো নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।