শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

নির্বাচনের পর শিবিরের কোনো সদস্যকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: ছাত্রদল নেতা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:১২ এএম

নির্বাচনের পর শিবিরের কোনো সদস্যকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: ছাত্রদল নেতা

ছবি - সংগৃহীত

আগামী নির্বাচনের পর 'শিবিরের বাচ্চা'দের দেশের রাজনীতিতে কোনো স্থান দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলের শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি। রবিউল আউয়াল তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে যারা আমাদের মা-বোনদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে, তাদের উত্তরসূরিরা সেই একই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, ‘যাদের বাপ-দাদারা ১৯৭১ সালে এ দেশে পরাজিত হয়েছিল এবং মাথা নত করে পালিয়ে গিয়েছিল, আমরা আশাবাদী যে সামনের নির্বাচনের পর তারাও লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে। আমরা এ দেশের মাটিতে আর কোনো পাকিস্তানি কায়েম হতে দেবো না, কোনো রাজাকারের বাচ্চাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো না এবং কোনো শিবিরের বাচ্চাকে এ দেশে রাজনীতি করতে দেবো না।’

রবিউল আউয়ালের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জবি শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ একটি যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। তারা বলেন, রবিউলের এই মন্তব্য আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার পরিপন্থী। শিবির নেতারা অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভয়-ভীতি দেখানোর একটি নোংরা অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুপন্তি রত্নাও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রতিফলন। শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তা ও মতের আদান-প্রদানের জায়গা, সেখানে এ ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তারা রবিউল আউয়ালের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।