সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ফুটবলের মেসি হতে চান চাঁদপুরের ক্ষুদে সোহান

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম

ফুটবলের মেসি হতে চান চাঁদপুরের ক্ষুদে সোহান

ছবি- সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছোট্ট গ্রাম সাড়ে পাঁচ আনীতে জন্ম নেওয়া সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু সোহান প্রধানের ফুটবল নৈপুণ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ফুটবলের সঙ্গে তার দক্ষতা এবং কৌশল দেখে অনেকেই তাকে বাংলাদেশের ক্ষুদে মেসি বলে অভিহিত করছেন। তার এই অসামান্য প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ফুটবলে অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছেন তার পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। এরই মধ্যে তার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক এবং স্থানীয় প্রশাসন।

ফুটবলকে পায়ের জাদুতে আটকে রেখে দৌড়াতে পারার বিরল প্রতিভা দেখিয়েছেন চাঁদপুরের সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু সোহান প্রধান। তার এই অসাধারণ দক্ষতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সবার নজর কেড়েছে। ক্ষুদে এই ফুটবলারকে তার পরিবার, স্বজন এবং এলাকাবাসী দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে দেখতে চান।

প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া সোহান প্রধানের ফুটবল নিয়ে দক্ষতা দেখে অনেকেই তাকে 'পিচ্চি মেসি' নামে ডাকছেন। স্থানীয়রা জানান, বাবা সোহেল প্রধানিয়ার সাইকেলের দোকানে কাজের ফাঁকে বা অবসরে ছেলেকে নিয়ে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়তেন। সোহান বাবার কাছেই খেলার কৌশল শিখেছে। সোহানের বাবা সোহেল প্রধানিয়া জানান, ছেলের স্বপ্ন ফুটবলার হওয়া, আর তিনি ছেলেকে বিকেএসপি বা ভালো কোনো ফুটবল ক্লাবে ভর্তি করাতে চান। সোহান নিজে বলেন, "আমার পছন্দের খেলোয়াড় মেসি। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালো ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে দেখাতে পারি।"

সোহানের প্রতিভা দেখে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অনেকেই। বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক তার বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি বলেন, "মাত্র সাড়ে ৫ বছর বয়সী এই মেসিখ্যাত পিচ্চি সোহানের দায়িত্ব এখন থেকে বিএনপি নিয়েছে।" তিনি আরও জানান, দলের পক্ষ থেকে সোহানকে মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে এবং তার বয়স ৭ বছর হলে বিকেএসপিতে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।

একইভাবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনিও সোহানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, "সোহানের প্রতিভা যাতে কোনো সীমাবদ্ধতায় থেমে না যায় সে জন্য তার ও তার পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন থাকবে।"

সোহানের মা-বাবা এবং স্থানীয়রা আশাবাদী, সঠিক পরিচর্যা ও সুযোগ পেলে একদিন সোহান দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।