আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর ও শাপলা স্মৃতি সংসদের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক মন্তব্য করেছেন যে, শাপলা চত্বরের রক্তের স্রোত থেকেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ধারা শুরু হয়েছে। এই মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলার কথা আসেনি, এই দায় যেমন ড. ইউনূসকে নিতে হবে, তেমনি এই দায় পুরো অন্তর্বর্তী সরকারকেও নিতে হবে। তিনি বলেন, শাপলার চেতনাকে আগামীর বাংলাদেশের মাইলফলক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই শাপলা স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
হেফাজতের এই নেতা বলেন, আগামীর বাংলাদেশে জুলাইকে মূল্যায়ন করা মানেই শাপলাকেও মূল্যায়ন করা। তিনি আরও বলেন, শাপলা স্মৃতি সংসদ শহীদ পরিবারের অভিভাবকত্ব গ্রহণের জন্য ‘শাপলা শহীদ গার্ডিয়ান্স ফোরাম’ গঠন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা শাপলা চত্বরকে ‘গণহত্যার’ স্থান হিসেবে অভিহিত করেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, শাপলার শহীদরা আমাদের ঈমানি শক্তির প্রতীক। তাদের আত্মত্যাগকে ধারণ করেই ইসলামী আন্দোলন এগিয়ে যাবে।
জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল হালিম বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের আলেম সমাজকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করা হলেও এখন তা পাল্টে গেছে। বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন বলেন, ইসলামের তাহযিব ও তামাদ্দুন রক্ষায় আলেমদের বজ্রকণ্ঠ যতদিন থাকবে, ততদিন এদেশে ইনসাফ থাকবে।
২০১৩ সালের শাপলা গণহত্যার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, হতাহতদের চিকিৎসা সেবা, আইনি সহায়তা ও মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখার জন্য প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। আল জাজিরা, দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এবং হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরকে (২০১৩ সালের কমিটি) এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও, গণমাধ্যম, আইন ও মানবাধিকার, চিকিৎসা সেবা এবং পুনর্বাসন সহায়তা খাতে অবদান রাখার জন্য ২১ জনকে ব্যক্তি পর্যায়ে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।