আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
বিশ্ববাজারে বেশ কয়েকটি প্রধান ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সয়াবিন বীজ, পাম তেল এবং সূর্যমুখী তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরে এই পণ্যগুলোর মূল্যে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রেড ইকোনমিকসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে প্রতি বুশেল সয়াবিনের বীজ ১ হাজার ২২ ডলার ৭৫ সেন্টে বিক্রি হয়েছে, যা এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ১ শতাংশ বেশি। একইভাবে, পাম তেলের দামও এক মাসে প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে প্রতি টন ১ হাজার ৭২ ডলার ১৬ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সূর্যমুখী তেলের দামও সপ্তাহ ব্যবধানে ২.৩৬ শতাংশ এবং মাস ব্যবধানে ৫.৮৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন ৮২ ডলারে পৌঁছেছে।
তবে এই মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে ক্যানোলা তেলের দাম কমেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্যানোলার দাম আরও নিম্নমুখী থাকতে পারে। সর্বশেষ তথ্যমতে, মাস ব্যবধানে ২.৩১ শতাংশ দাম কমে এই তেল প্রতি টন ৪৭৭ ডলার ৫৯ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভোজ্যতেলের পরিবহন খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর পেছনে দুটি প্রধান কারণ হলো—আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠককে ঘিরে উত্তেজনা। ব্রেন্ট ক্রুড ১.৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৬.৮৪ ডলারে এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ২.১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৩.৯৬ ডলারে লেনদেন শেষ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও ভোজ্যতেলের এই মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও প্রভাব ফেলবে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেলে ভোক্তা পর্যায়ে এর দাম বাড়তে পারে। সরকারের উচিত এই বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।