বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২

নতুন রূপে ফিরছে ‘বাহুবলি’: আসছে ‘দ্য এপিক’

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:০৮ পিএম

নতুন রূপে ফিরছে ‘বাহুবলি’: আসছে ‘দ্য এপিক’

ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে বক্স অফিস কাঁপানো ‘বাহুবলি’ ফ্র্যাঞ্চাইজি আবারও নতুন রূপে ফিরছে। এবার আসছে এক মহাকাব্যিক রূপে ‘বাহুবলি: দ্য এপিক’। নির্মাতা মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমার অফিসিয়াল ঝলক প্রকাশ করার পর মুহূর্তেই নেটদুনিয়ায় তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। নতুন এই পর্বে মাহিষ্মতী রাজ্যের রাজকীয় আভিজাত্য, অসাধারণ শক্তি আর চোখ ধাঁধানো ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট (ভিএফএক্স) দেখে দর্শকরা আবারও ‘বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’ ও ‘বাহুবলি: দ্য কনক্লুশন’-এর স্মৃতিতে ফিরে গেছেন।

প্রায় এক দশক পর আবারও সেই কিংবদন্তি চরিত্রে প্রভাসকে দেখার জন্য ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ২০১৫ সালে ‘বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’ এবং ২০১৭ সালে ‘বাহুবলি: দ্য কনক্লুশন’ ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছিল। এবার তৃতীয় কিস্তি ‘বাহুবলি: দ্য এপিক’ সেই সাফল্যের ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এই সিনেমার সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এর ব্যতিক্রমী দৈর্ঘ্য। সাধারণ চলচ্চিত্রগুলো যেখানে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, সেখানে ‘বাহুবলি: দ্য এপিক’-এর দৈর্ঘ্য ৫ ঘণ্টা ২৭ মিনিটের এক অবিচ্ছিন্ন কাহিনি। এটি দর্শকদের ধৈর্য, মনোযোগ এবং আবেগের এক নতুন পরীক্ষা নেবে। রাজামৌলির এই বিশাল পরিকল্পনা প্রমাণ করে যে তিনি আবারও ভারতীয় সিনেমায় এক নতুন ধারার সূচনা করতে চলেছেন।

আগের দুই কিস্তিই বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। প্রথমটি বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা আয় করেছিল, আর দ্বিতীয়টি ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। তাই ‘বাহুবলি: দ্য এপিক’ ঘিরে দর্শকদের প্রত্যাশা এখন আকাশচুম্বী। নির্মাতারা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর বড়পর্দায় এই মহাকাব্যটি মুক্তি পেতে পারে। এই ঘোষণাটি ভক্তদের মধ্যে অপেক্ষা আরও অসহনীয় করে তুলেছে।

রিপোর্টারের ভয়েস থেকে জানা গেছে, সিনেমাটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিনোদন জগতের বিশ্লেষকদের মতে, রাজামৌলির এই প্রজেক্ট শুধু ভারতীয় চলচ্চিত্রই নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সাড়া ফেলবে। বাহুবলির মতো একটি আইকনিক চরিত্র নিয়ে নতুন কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং হলেও রাজামৌলি এবং প্রভাস সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এই চলচ্চিত্রটি আবারও ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্ব মঞ্চে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।